মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর
স্বামী মারা যাওয়ার ১৩ বছরেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদিবাসী বিধবা নারী হৈরন্তী কোচের ভাগ্যে জুটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। হৈরন্তী (৪৬) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের দিনমজুর মৃত অশ্বিনী কোচের স্ত্রী। অশ্বিনী কোচ ১ছেলেও স্ত্রীসহ ছিল ৩ সদস্যের পরিবার। শ্রম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
২০১১ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মুত্যু বরন করে। এ সময় সহায় সম্বল যা ছিল তা অশ্বিনী কোচের চিকিৎসার পিছনে ব্যয় হয়। শুধু তাই নয় স্বামীর চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানোর জন্য হৈরন্তী বহু টাকা ঋনগ্রস্ত হয়ে পরে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই হৈরন্তী কোচ দিনমজুরি করে এক ছেলেসহ ২ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। হৈরন্তী কোচ জানায় একদিন কাজে না গেলে সেদিন অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তাদের দিন। থাকার ঘরটিও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সামান্য বৃস্টি হলেই সারারাত বসেই কাটাতে হয়।
হৈরন্তী জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর একটি বিধবা ভাতার কার্ড পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার আবেদন নিবেদন করেছেন। বিভিন্ন সময় আশ্বাস ও পেয়েছেন। কিন্তু আজো হৈরন্তীর ভাগ্যে জুটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। হৈরন্তী কোচ জানায়, ভাতার কার্ড চাইতে গেলে ৫ হাজার টাকা চায়। টাকা দিতে না পারায় তাকে কার্ড দেয়া হচ্ছে না। এমন অভিযোগ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ বার সুযোগ নেই। পরবর্তীত দেখা যাবে কি করা যায়।