স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র বিশেষ প্রতিনিধি মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমাদের অর্থনীতির বিশেষ প্রতিনিধি এম. মোশাররফ হোসাইন। ২১ সদস্যের কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও এম. এস. দোহা, যুগ্ম-সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জসিম ও কামরুজ্জামান বাবলু, অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরবেশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক এ এফ এম রাসেল পাটোয়ারী, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জহির আলম সিকদার, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক আহমেদ আজম, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফারজানা আফরিন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক বদরুল আলম মজুমদার, ইভেন্ট-আপ্যায়ন সম্পাদক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বেলাল এবং নির্বাহী সদস্য দিদারুল আলম দিদার, সায়ীদ আবদুল মালিক, সাঈদ আহমদ খান, মোহাম্মদ মাসুদ ও কমল চৌধুরী।
দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্ম অধিবেশন ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হোসাইন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব রশিদ, মোহাম্মদ আবু তাহের, মো. শরীফুল ইসলাম এবং ফারুক খান। এর আগে সকাল ১০টায় সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি, সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতয়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজিউল হাসান খান, প্রেস ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (পিআইবি)’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক মোস্তফা হোসাইন, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন, সিনিয়র সদস্য আ. ন. ম. কুদরাত-ই-খোদা এবং আবু তাহের-সহ আরও অনেকে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার যে ঐতিহ্য সবাইকে তা ধারণ করে এগুতে হবে।
তবে, কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতার সঙ্গে লড়াই চলে না। কুমিল্লাকে প্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যাতে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠে, সে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, পরিবর্তনকে ভয় পেলে চলবে না। আপনারা উন্নত কুমিল্লা চান। উন্নত বলতে বুঝায় জ্ঞানে-বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এবং দারিদ্র্য, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত। আপনারা সাংবাদিকরা এর জন্য অবদান রাখবেন, বিশ্বাস করি। আগামী দিনের ইতিবাচক অগ্রযাত্রায় শামিল হবেন। অনেকে সমস্যার কথা বলেছেন, এগুলোর সমাধানে আপনারা একটি কর্মপরিকল্পনা করেন। আমি সর্বতোভাবে সহায়তা করবো। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব বলেন, অনেকে বলেন রাজনীতিবিদরাই সমাজ সেবা করে।
শুধু রাজনীতিবিদরা নয়, সবাই সমাজসেবা করে। আমরা স্ব-স্ব যায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলেই সমাজসেবা হয়ে যায়। এসময় তিনি কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাংবাদিকসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, সাংবাদিকদের কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করতে হবে। কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা বাংলাদেশের শিক্ষার বিকাশে পথপ্রদর্শক; তার মূল্যায়নে ভূমিকা রাখতে হবে। তার বাড়ির স্মৃতি সংরক্ষণ করতে হবে। শচীন দেব বর্মন ও উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ কে স্মরণ করতে হবে। শান্তি ও সুনীতিকে সামনে আনতে হবে। একটা মাত্র জেলা যেখানে মুক্তিযুদ্ধের তিনটি সেক্টর ছিল। তিনি বলেন, আমি জেলা কোটা বিলুপ্তির পক্ষে, কুমিল্লা বিভাগের পক্ষে। আমরা চেষ্টা করলে কুমিল্লাকে আরও বিকশিত করতে পারি।