পটুয়াখালীতে কিচেন মার্কেটে ভাগ্য ফিরেছে মেয়র মহিউদ্দিন এর লোকজনের ক্ষতিগ্রস্তদের মানবেতর জীবনযাপন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী পৌর নিউমার্কেটে বেশির ভাগ স্টল বরাদ্দ পেয়েছে বহিরাগত লোকজন বঞ্চিত হয়েছে অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীরা এর কারন মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ তার নিকটতম লোকজনদের সুবিধার্থে এসব স্টল বরাদ্দ দিয়েছেন।

সুত্রে, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে পটুয়াখালী পৌর নিউমার্কেট বাজারে। ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে এ অগ্নিকান্ড ঘটায় মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। ওই আগুনে শতাধিক প্রতিষ্ঠান পুড়ে ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী টানা ৩ বছর ধরে কিচেন মার্কেট নির্মান করে মেয়র। ওই মার্কেটে স্টল বরাদ্দে ব্যয়ের তিন গুন টাকা ধার্য করা হয়েছে।

এরপর বরাদ্দ নিয়ে শুরু হয় মেয়রের স্বজনপ্রীতি। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা স্টল না পেলেও স্টল পেয়েছেন মেয়রের আপন ভাতিজা আদনান শাহারিয়ার আবিদ,চাচাতো ভাই মনির হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা শাহজালাল খান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা পারভীন, মেয়রের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা রেজাউল করিম সোয়েব, পৌরসভা খেয়া ঘাটের টোল আদায়কারী রাহাত, মেয়রকে সোনার নৌকার বিনিময়ে স্টল পেয়েছেন স্বচ্ছল ব্যবসায়ী সুভাস পাল, বড় মসজিদের ঈমাম মাওলানা আবু সাঈদসহ অনেকে।

এরমধ্যে পৌর পরিষদের ১২ জন কাউন্সিলর স্টল নিয়ে এসএম ফারক ও কাজল বরন দাস চরাদামে বেঁচে দিয়েছেন। এদিকে ঘর না পাওয়ার জেরে আওয়ামীলীগ নেতা শাহজালালের স্টলে তালা দিয়েছেন আরেক আওয়ামীলীগ নেতা এনায়েত হোসেন। এছাড়াও স্টল পেয়েছেন মেয়রের উপদেষ্টা ফরহাদ জামান বাদল ,কাজী নাসরু তালকদার ও আবদুস সালাম আরিফ,কাচামাল ব্যবসায়ী আসলাম ব্যাপারী, পিএস এনামুল,বাসার কাজের লোক বেলালসহ অনেকেই।

স্টল বরাদ্দ না পেয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা এখন কেমন আছেন-স্টল না পেয়ে এখনো একধিক ক্ষতিগ্রস্থরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। র্দীঘ দিন কর্মহীন থেকে এসব পরিবার গুলো এখন দুর্দশায় দিন পার করছেন। তাহলে পৌর মেয়র কি নাগরিক সেবা দিয়েছেন নাকি তার নিজের লোকজনের সেবা দিয়েছেন এমন প্রশ্নে হতবাক পটুয়াখালীবাসী।

Leave a Reply