কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি
বিনা নোটিশে সাংবাদিকের একটি ঔষধের ফার্মসী গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সেই আলোচিত ইউএনও'র বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন গাজীপুর ও কালিয়াকৈরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ । গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর কর্মরত সাংবাদিকরা গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এমানববন্ধনের আয়োজন করেন।
কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আজকালের খবর কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, যমুনা টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আলী বাবু , নাগরিক টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি আল-আমিন, দীপ্ত টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, আনন্দ টেলিভিশনের কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি আফসার খান বিপুল, কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবে সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইমারত হোসেন।
এসময় গাজীপুর জেলার ও কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারি জমির উপর দোকান বা বাড়িঘর থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী যারা ওই জমিতে খাজনা পরিশোধ করে দোকানপাট নির্মাণ আছে তাদেরকে নোটিশ প্রদান করতে হবে। নোটিশ প্রদান করা ছাড়া কোন স্থাপনা ভাঙতে পারবে না। কিন্তু উপজেলার চা বাগান বাজারে ইমারত হোসেন দীর্ঘ ৩৬/৩৭ বছর ধরে সরকারি প্যারেফেরি করা জমির উপরে ফার্মেসী নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ।
গত ২১ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী সাংবাদিকের উপর আক্রোশে দেখিয়ে বিনা নোটিশে তার ঔষধের দোকানসহ আরো তিনটি দোকান ভেঙ্গে দেয়। এসময় দোকানে থাকা কোন মালামাল বের করার জন্য কোন সময় প্রদান না করে ভেকু দিয়ে সমস্ত মালামাল তছনছ করাসহ দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। এটা অন্য হয়েছে। এছাড়াও তার দুর্নীতির নিউজ প্রচার ও প্রকাশ করার কারনে তিনি ওই দোকানে অভিযান পরিচালনা করে গুড়িয়ে দেয়। আমরা এই মানববন্ধনের মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তাছাড়া ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেব্রুয়ারীর ২০তারিখে বদলী হলেও, কি করে? ২১ফেব্রুয়ারি বন্ধের দিনে অভিযান পরিচালনা করেন। তার স্থানে অন্য কোন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকার কথা? এটা এটা আইনগত ভাবে অবৈধ হইছে।কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকসহ গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিরা ইউএনও,র নানা অপকর্ম নিয়ে ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে।
উল্লেখ্য ইউএনওর অপকর্ম নিয়ে সভাপতি ইমারত হোসেন কোন প্রকার নিউজ করেনি। তারপরও ক্লাবের সভাপতি কেন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারণায় বাধা দেননি এজন্য তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সাংবাদিকের ফার্মেসী গুড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাউসার আহমেদ গত ২০ফেব্রুয়ারী গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।
একজন নতুন ইউএনও দায়িত্ব গ্রহণের পরও বদলী ইউএনও কি ভাবে ২১ফেব্রুয়ারী বিনা নোটিশে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এছাড়াও বক্তব্যরা বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে স্থাপনা ভাঙচুর ও মালামাল ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি করেন। পরে বিনা নোটিশে দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইমারত হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেওয়া হয়।