ওরা তিনজন এবার আরো বেশি বিতর্কিত হয়েছে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে বহুবিদ আপত্তিকর অভিযোগ উঠেছে! চৌর্যবৃত্তি, অলেখক, আমলা এবং ক্যাটাগরি বানিয়ে পুরস্কার প্রদানের। বিশেষ করে তিন প্রবাসী নারীর পুরস্কার নিয়ে নানা অভিযোগ এবং প্রতিবাদ হচ্ছে। কথাসাহিত্যে কানাডার সালমা বাণী, কবিতায় এবং অনুবাদে এককভাবে যথাক্রমে ইংল্যান্ডের শামীম আজাদ আর সালেহা চৌধুরীকে নিয়ে!

প্রশ্ন উঠছে এই তিন গৌণ লেখিকাদের লেখার গুণগত মান নিয়েও! তারা পুরস্কারকে বিতর্কিত করে তিরস্কার ও হাস্যকরে পরিণত করেছেন। এরা তিনজন-ই বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত প্রবাসী ক্যাটাগির সৈয়দ ওয়ালিওল্লাহ পুরস্কার (পেয়েছেন না) নিয়েছেন। এবারও অনেক মেধাবী এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখককে ডিঙ্গিয়ে লবিং করে, প্রভাব খাটিয়ে আবারও (বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার) বগলদাবা করলেন! অথচ জাহিদ হায়দার, ময়ূখ চৌধুরী, মুজিবুল হক কবির, গোলাম কিবরিয়া পিনু, মিনার মনসুর, ফরিদ কবির, আকিমুন রহমান, আহমদ মোস্তফা কামাল, প্রশান্ত মৃধা, আলী আহমদ, হারুন আল-রশীদ, রাজু আলাউদ্দীন, সিরু বাঙালি, বিশ্বদের চৌধুরী, সৈয়দ আজিজুল হক, আহমাদ মাজহারদের মতো শক্তিশালী লেখকদের বঞ্চিত করে!

সাংবাদিক সুব্রত নন্দীর বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করে বলতে চাই- ‘লবির মাধ্যমে এরা হয়ত পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছে, যা বাংলা একাডেমির মূল্যায়ন কমিটির কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পুরস্কারের সম্মানকে নীচে নামিয়ে দিয়েছে।’ মোদ্দাকথা: বাংলা একাডেমি তাদের পুরস্কার প্রদানে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিতে অক্ষম। এই অক্ষমতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বাংলা একাডেমি পুরস্কারও মানহীন হয়ে যাবে।

Leave a Reply