কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় শেফালী বেগম (৩২) নামে এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে শয়নকক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শেফালী বেগমের বাড়ি উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মণ্ডলপাড়া গ্রামে।তিনি খলিলগঞ্জ বাজার এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির বাসায় স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানা-পুলিশ জানিয়েছে, শেফালী বেগম পৌর শহরের ত্রিমোহণী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পে’ থানা অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন রঞ্জু। এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। পরে স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা রঞ্জুর মোবাইল ফোনে কল দেন। প্রথমে তিনি বাসায় আসতে চাইলেও, পরে মোবাইল বন্ধ করে দেন রঞ্জু। বাসার মালিক কাজলের ছোট ভাই বাদল বলেন, এই পরিবারটি গত ১৫ ডিসেম্বর বাসা ভাড়া নেয়। তারা দুজনেই এনজিওতে চাকরি করেন বলে জানি আমরা। তাদের সাত বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
নিহত নারীর সহকর্মী সাথী বলেন, আমি অসুস্থতাজনিত কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটের দিকে শেফালী আপার সঙ্গে মোবাইল ফোনে আমার কথা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি সন্ধ্যায় শেফালী আপার বাসায় গিয়ে দেখি, ঘরের দরজা বন্ধ। পরে বাসার লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা খুলে শেফালী আপাকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বসে থাকতে দেখেন। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের লাশের সুরতহাল শেষে থানায় নেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।