তিন ভাইয়ের মাদক এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের পানধোয়া এলাকায় একই পরিবারের তিন ভাইয়ের মাদক এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী থানায় অভিযোগ। সরেজমিনে জানা যায় পাথালিয়া ইউনিয়নের পানধোয়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের রমরমা বানিজ্য করে যুব সমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্থানীয় দুলু মিয়ার তিন সন্তান নুরুল ইসলাম(৩৭), দীন ইসলাম(৪০) ও শফিকুল ইসলাম(৫০)।

এলাকায়এদের এইসব মাদক বানিজ্য আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখে স্থানীয় লোকজনের মনে বিরাজ করছে চাপাক্ষোভ আতংক আর এদের কারণে এই এলাকার তরুণসমাজ দিনদিন জড়িয়ে পরছে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে। তিন ভাইয়ের ছোট নুরুল ইসলাম নিজেও ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত এবং রাতের বেলায় তাদের বাড়ির পাশেই অন্ধকার গলিতি বিক্রি করে ইয়াবা ট্যাবলেট, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী জানায় রাতের বেলায় হোন্ডার শব্দে ঘুমাতে পারিনা, কারন হিসেবে জানায় ঐ বাড়ির নুর ইসলামের কাছে এইসব হোন্ডা নিয়ে আসে মাদক কিনতে।

মেজ ভাই দীন ইসলাম নিপুল মাস কয়েক আগেও পানধোয়া বাজার এলাকায় জনসম্মুখে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে প্রশাসনের হাতে ধরা পরে। আর বড়ো ভাই শফিকুল ইসলাম মদ্যপান এবং মদ কারবারের সাথে জড়িত। এলাকাবাসীরা দাবি করে বলেন. শফিকুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করে আর সেই সুবাদে বিশমাইল, পানধোয়া ও আমবাগান এলাকার বিভিন্ন নির্জন জায়গায় মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় ঘুরে বেড়ায় এবং সাধারণ মানুষের সাথে সন্ত্রাসী আচরণ করে আতংত সৃষ্টি করে যেন আশেপাশের মানুষজন তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস না পায়।

গত কয়েক দিন আগেও মাদকাসক্ত তিন ভাইয়ের অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবেশী দুলাল মিয়া, আফজাল শরীর, নাজমুল হাসান রিপন, জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন স্থানীয় গ্রাম্য মাদবরদের কাছে অভিযোগ করলে, তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীরা এসে প্রতিবেশী জাহিদুলের বাড়িতে ডুকে তার স্ত্রী ও চার বছরের কন্যা সন্তানের কপালে ইটের আঘাত করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। অবস্থার বেগতিক দেখে জাহিদুল ইসলাম থানা পুলিশের দারস্থ হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিকার পাওয়ার আশায় আদালতের দারস্থ হয়। এদের তিন ভাইয়ের মাদক, সন্ত্রাস ও বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিস থেকে শুরু করে থানাপুলিশে অভিযোগ এবং আদালতে রয়েছে ৩২৩/৫০৬ ধারায় মামলাও। তবে অদৃশ্য কারনে প্রশাসনের নাকের ডগায় দিব্যি ঘুড়ে বেড়াচ্ছে এই তিন সহোদর।

Leave a Reply