সি এম আরমান বিশেষ প্রতিনিধি
নতুন পাঠ্যক্রমে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সে ত্রুটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার নতুন সরকারের প্রথম সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন যে শিক্ষাক্রম নেওয়া হয়েছে, তা প্রচলিত শিক্ষাক্রম নয়। তা থেকে ভিন্ন একটা, এই বাস্তবতা আমাদেরকে মানতে হবে। আমরা যারা বিশেষজ্ঞ তারা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে শিক্ষা পেয়েছি। নতুন যে পাঠ্যক্রম রচনা করতে হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষিত লোক খুব বেশি আছে তা কিন্তু নয়।
যারা আছেন, তাদের কাজ হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি কোনো ভুল ভ্রান্তি, যদি কোনো তথ্যগত বা কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে দ্রুত যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, কোনো বিলম্ব হবে না। কোনো গ্যাপ তৈরি হলে যেন যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্তা নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন।’ এছাড়া সরকারি প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা ও বাছাইয়ের কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যে প্রকল্পগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, জনগণ উপকার পাবে সেদিকে উনি মনোযোগ দিতে বলেছেন।
তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, তার মূল লক্ষ্য হলো জন মানুষের অবস্তার উন্নতি। এরকম নয় যে মানুষকে দেখানো। জনমানুষের কল্যাণ হচ্ছে কিনা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কিনা- এটি তিনি জিজ্ঞাসা করবেন, জানতে চাইবেন যে কীভাবে এটি জনগণকে বেনিফিট দেবে। সেভাবে যেন প্রকল্পগুলো বাছাই করি।
চলমান যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলো যেন দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় যাতে অহেতুক না বাড়ে। সেজন্য আগে থেকেই পূর্ণাঙ্গ প্ল্যান করে প্রকল্প নিতে হবে। তিনি একটি ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন প্ল্যানিং কমিশন একটি নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে, সেটির পাইলটিং চলছে এখন। পাইলটিং শেষ করে দ্রুত যাতে এই সফটওয়্যার আওতায় যাতে প্রকল্প নেওয়া হয় সে বিষয় তিনি বলেছেন। এটা হলে ভালো হবে।’ সভায় সরকারের ৭৮ জন সচিব ও সিনিয়র সচিব অংশ নেন।