বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পরিবার খুঁজে পেলেন পোকায় খাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের কপি। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা আলাল উদ্দিনের ভাগ্যে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ সদর উপজেরার দাপুনিয়া ইউনিয়নের উজান ঘাঘরা গ্রামে।
মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্দা আলাল উদ্দিন দাপুনিয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান করে স্ত্রী ও ২ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতো। রনাঙ্গনের এই যোদ্ধা পেয়েছিলেন স্বাধিনতা সংগ্রামের মোহাম্মদ আতাউল গনী ওছমানী স্বাক্ষরিত সনদ।
একধিকবার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা অন্তরভূক্তকালে তার সেই স্বাধিনতা সংগ্রামের সনদ খুজে পায়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাল উদ্দিন। অন্তরভূক্ত হয়নি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম। বঞ্চিত হলো মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে।
একটি চায়ের দোকানকে পূজি করে জীবনের সাথে লড়াই সংগ্রাম করে মুক্তিযোদ্ধা আলাল উদ্দিন তার ২ ছেলে ৪ মেয়েকে লালন পালন করে বড় করেছেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে সম্প্রতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন রনাঙ্গনের সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাল উদ্দিন।
রনাঙ্গনের সেই যোদ্ধার মৃত্যুর পর অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। স্ত্রী রুপজান বেগম বলেন, বেচে থাকতে উনার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ওনি খুজে পায়নি। মৃত্যুর পর বাড়ির জমিনের দলিলের নীচে পোকায় খেয়ে ফেলা সেই সনদ পাওয়া গেলো।
হায়রে কপাল ওনি বেচে থাকতে ঐ কাগজটা কত খুজেছে পায়নি। কত কষ্ট যে পাইছে সে। সন্তানদের দাবী আমার বাবা তো দুনিয়াতে নেই। সে মুক্তিযোদ্ধ করেছে, তার সনদ না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হতে পারেননি।
বড় ভাই শাহাদত হোসেন বলেন, আব্বার চায়ের সেই দোকান করে আমি সংসার চালাই। আমার আব্বার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ওঠেনি কিন্তু আমার আম্মা এখনো বেচে আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী আমার আম্মাকে মুক্তিযোদ্দা তালিকায অন্তরভূক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করে দেন।