স্টাফ রিপোটার
গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর ইউনিয়নের বড় খোদাপুর গ্রামের মনোয়ারুল ইসলাম সরকার বাদী হয়ে গত ১৩ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে একই গ্রামের মোঃ মামুন শেখ ও মিন্টু শেখ কে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং জি আর ০৫/২০২৪ ইং। উক্ত মামলায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ মোঃ মামুন শেখ কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
ঘটনার বিবরনে জানাজায় ২৮ শে ডিসেম্বর বিকাল অনুমান পৌনে ছয় ঘটিকার সময় বাদীর কন্যা সরদার হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় আসামিগণ আখ ক্ষেতের আইলে পৌছিলে আসামি দয় যোগসাজসে ভিকটিম কে আখ খেতের জমির ভেতরে টেনে নিয়ে যেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে,এবং জিল্লুর রহমানকে মারপিট করিয়া আহত করার অভিযোগ এনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে হাবিজার ও আসামী মামুন শেখের পিতা জলিল শেখের মধ্যে জমা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মনমালিন্য ও শালিস দরবার চলছিল। ঘটনার দিন ২৮ ডিসেম্বর জলিল শেখের আখ ক্ষেতে মরিয়ম, হাবিজার, মোনারুল গংরা অন্যায় ভাবে প্রবেশ করিয়া আখকাটতে শুরু করলে মোনারুলের মা-বোন বাধা দেয়। ইহাতে দু পক্ষের মধ্যে মারপিট ও আহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। সরজমিনের জানা গেছে উভয় পক্ষের মধ্যে জমা জমির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মোনারুল ইসলামের মেয়েকে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানায় উক্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে। এ বিষয়ে ১৫ ই জানুয়ারি শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি সেকেন্দার আলী মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, জমা জমি ও আঁখ কাটা কে কেন্দ্র করে হাবিজার ও জলিল শেখের মধ্যে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একটি মহল মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে থানায় নারী শিশু মামলা দায়ের করেছে, যা সত্য নয়।
১৫ ই জানুয়ারি সময় ১১:০০ টায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সরদার হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ খানুন নুন এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমা জমি নিয়ে ঘটনায় আঁখ কাটাকে কেন্দ্র করে হাবিজার ও জলিল গংদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে থানায় নারী শিশু মামলা করে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করায় তিনি দুঃখ ও খোভ প্রকাশ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর রায়হানুজ্জামান কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মামলার বিষয় তদন্তের কাজ চলছে, তদন্তে সত্য মিথ্যা যেটাই পাওয়া যাবে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেছেন সর্বস্তরের জনগণ ও ভুক্তভোগী পরিবার