নিউজ ডেস্ক
প্রথমদিন ১৩টি জেলায় ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড পাঠানো হচ্ছে। বাকি জেলাগুলোতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচনী এসব সরঞ্জাম পাঠানো হবে।
প্রথম দিন গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও রাঙ্গামাটি জেলায় ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া বিজি প্রেস থেকে জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি ও ভোলা এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে বরগুনা, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা জেলার ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে।
ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাডও পাঠানো হচ্ছে। একইভাবে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাগুলোতেও ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। প্রতিটি গাড়িই প্রেস থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছে।
গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব এনাম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড; সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের মধ্যে ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ের গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস, বিজি প্রেস ও বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে বিতরণ করা হবে।
ব্যালট পেপার সংগ্রহের ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি। ইসি জানিয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত প্রতিনিধিকে হয় জেলা নির্বাচন অফিসার বা সহকারী কমিশনার প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট ছাপাখানা থেকে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের পরিবহন হিসেবে কার্ভার্ডভ্যান আনতে হবে।
প্রতিনিধিকে তার নিজের পরিচয়পত্র বহনের পাশাপাশি জেলার নির্বাচনী এলাকাগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নাম, প্রতীক ও ভোটার সংখ্যার তথ্য আনতে বলা হয়েছে। এসব তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার বুঝে নিতে হবে। ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারি শাখায় সংরক্ষণসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ১৯ ডিসেম্বর থেকে ছাপাতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার ছাপার কাজ শেষ করতে চান তারা।