স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর বনানীর কবরস্থান রোডে শহীদ নিজেকে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে স্পার নামে মাদক বিক্রি নারী দেহ ব্যবসা করে আসছে প্রশাসনের ভূমিকা নিরব রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া গুলশানে বনানী বিলাসবহুল বাড়ি ভাড়া নিয়ে শহীদ মাদক ও নারী দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন হেয়ার কাটিং সেলুন বিউটি পার্লার স্পা সেন্টারের নেপথ্যে চলছে জমজমাট মাদক ও যৌন ব্যবসা সহ ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত পাপাচার জেনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়। তবুও এক শ্রেণীর নরপশু টাকার লোভে ব্যবসার নামে জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সমাজ নষ্ট করছে। মাদক আর নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে। অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশান বনানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং সেলুন অথবা স্পা সেন্টার খুলে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা ফেদে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।গুলশান -১এ,১৩১নং সড়কে ৬০/বি খুশবু রেস্টুরেন্টের উ পরে বাড়ির চতুর্থ তলা ফ্লোরে রয়েছে মালিক সুমনার স্মার্ট থাই স্পা গুলশান -২এ ৪৪নং সড়কে বাড়ির ৬/বি ৫ তলা অ্যারোমা থাই স্পা মালিক হাসি, গুলশান -২এ ৪৫নং সড়কে ৩৩ বাড়ির ৪তলা হ্যাপি থাই স্পা মালিক রতœা, গুলশান-১ এ ৮নং সড়কে ১/বি বাড়ীর সি১ ফ্লাটে রয়েছে অরোরা স্পা সেন্টার এবং গুলশান-২ এ ২নং সড়কে ৪নং বাড়ীর ০ ফ্লাটে রয়েছে অরোরা স্পার ২য় শাখা যার মালিকদের তত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছে ফজলু। এদিকে গুলশান-১এর ১৩০নং সড়কের ১১/এ বাড়ীর ৬তলায় সুয়াই বিউটি কেয়ার স্পা এন্ড সেলুন পার্লার এর ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ই এন টি কেয়ার সেন্টার এবং হেয়ারিং সেন্টার খুলে তারা যাবতিয় অনৈতিক কর্মকান্ড করছে। সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সু-সজ্জিত ১০টি কামরা, যেখানে অত্যান্ত সুদ্ররী যুবতি রমনিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসংগি হচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায় এবং রাবেয়া আক্তার লাবনী যৌথ ভাবে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এই মিনি পতিতালয় গড়ে তুলে মোলহতা শহীদ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এ সকল অবৈধ ব্যবসাকে কেদ্র্র করে আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে নৃসংসভাবে মানুষ খুন হচ্ছে। যারা তাদের কথামত কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাদেরকে গুম করে দেয়া হয়। যার কোন রহস্য উদঘাটনের কিনারা পাওয়া যায় না। আর এ প্রতিটি খুনের মর্মান্তিক ঘটনাকে ইসু করে কতক লোকজন লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল বø্যাকমেইলিং হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তসরুপ করে দিচ্ছে। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরাকারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি করে পাশ্চাত্য স্টাইলে সবচেয়ে নোংড়া ও নিকৃষ্ট পাপাচার, তারা জেনা ব্যাভিচারের অবৈধ যৌনতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধংষ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায় সেখানে প্রতিদিন সন্ধার পর সব ভয়ংকর প্রকৃতির লোকের সমাগম লক্ষ করা যায়। এমনকি প্রশাসনের কতিপয় অফিসার ও সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এবং অশ্লীল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী বিশ্বাসঘাতক জামাত চক্রের মদদ দাতা হিসেবে তারা সেখানে একত্রে মিলিত হচ্ছে। গোপনে বৈঠক করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডের ইদ্রোন দিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমান সময়ের অভিসাপ ভয়ংকর নাসকতা সৃষ্টিকারী জঙ্গীবাদের উস্কানীদাতা হিসেবে তাদের কর্মকান্ডে যথেষ্ট সদ্রেহ রয়েছে আসপাশের প্রতিবেশিদের মাঝে।। তবুও তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নির্বিগ্নে সকল কাজ পরিচালনা করছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনে ও না জনার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতার চাদর মুড়ি দিয়ে রয়েছে। তা না হলে গুলশানের মত স্পর্সকাতর এলাকায় কিভাবে তারা এ ধরনের জঘন্য গর্হিত কর্মকান্ড চালাতে সাহস পাচ্ছে। তারা তাদের হীন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় এলাকাবাসী।