হনুমান দুপুর হলেই খাবার খেতে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা সদরে কয়েক দিন ধরে একটি হনুমান ঘোরাঘুরি করছে। দুপুর হলেই খাবার খেতে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টে বসে হনুমানের খাবার খাওয়ার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর জাজিরা উপজেলা সদরের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে রুনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে দুপুরের দিকে একটি হনুমান ঢুকে। হনুমানটি খাবার টেবিলে বসে যায়, আকার ইঙ্গিতে খাবার চায়। দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা এই ঘটনা দেখে অবাক হন। পরে তাঁরা একটি প্লেটে হনুমানটিকে খাবার দেন। খাবার খেয়ে হনুমানটি দোকান থেকে বের হয়ে যায়।হনুমানের খাবার খাওয়ার ঘটনা ভিডিও করে রাখেন রেস্টুরেন্টের মালিকের ছেলে হানিফ ব্যাপারী। গত মঙ্গলবার হানিফ ওই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে ভিডিওটি অনেকে শেয়ার করেন। এ বিষয়ে হানিফ ব্যাপারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কখনো সামনাসামনি হনুমান দেখিনি। হোটেলে হনুমান ঢুকছে দেখে প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলাম। খাবারের জন্য টেবিলে বসে বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তখন প্লেটে তাকে খাবার দেওয়া হয়। শান্তভাবে বসে খাবার খেয়ে হনুমানটি চলে যায়। ঘটনাটি অন্য রকম মনে হওয়ায় ভিডিও করে রাখি। ফেসবুকে দিতেই তা ছড়িয়ে পড়ে।’ রেস্টুরেন্টের মালিক সামাদ ব্যাপারী বলেন, হনুমানটি আরও কয়েক দিন তাঁর রেস্টুরেন্টের পাশে এসেছে, কিন্তু ভেতরে ঢোকেনি। বাইরে থেকে খাবার খেয়ে চলে গেছে। বিডিক্লিন নামের একটি সংগঠনের সমন্বয়ক পলাশ খান বলেন, কয়েক দিন ধরে জাজিরা পৌর এলাকায় একটি হনুমান ঘুরছে। সে কোথায়ও স্থির থাকে না। এ জন্য তার দেখভাল ও শুশ্রূষা করা যাচ্ছে না। তার ক্ষুধা লাগলে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টের সামনে আসে। আবার খাবার খেয়ে চলে যায়। পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে একটি হনুমান ঘুরে বেড়ানোর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে আগে কখনো হনুমানের দেখা মেলেনি। হনুমানটি কোথা থেকে এসেছে, তা বুঝতে পারছি না। শুনেছি সে কারও কোনো ক্ষতি করছে না। আমরাও নজর রাখছি কেউ যাতে হনুমানের কোনো ক্ষতি করতে না পারে। আর চেষ্টা করব পৌরসভা থেকে হনুমানটির জন্য খাবার সরবরাহ করতে।’

Leave a Reply