মোঃ আনজার শাহ :-
রক্তের সম্পর্ক এক অদৃশ্য বাঁধন। যত দূরেই যাওয়া হোক, যত ব্যস্ত জীবনই হোক, এই বাঁধন একদিন না একদিন টেনে আনে কাছে। কিন্তু আজ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক মুরাদের বুক ফেটে যাচ্ছে— কারণ, তার আদরের ভাতিজা আগামীকাল সৌদি আরব যাচ্ছে মায়ের সাথে ফ্যামিলি ভিসায়।
চাচা-ভাতিজার সম্পর্কটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সংসারের চেয়ে বেশি সময় যেন কেটে যেত এ দুজনের আড্ডায়, খুনসুটিতে, ভালোবাসার টানে। কিন্তু বিদায়ের প্রহর ঘনিয়ে আসতেই ভাতিজার মুখের সরল কথাগুলো ছুরির মতো বিদ্ধ করছে চাচার হৃদয়কে।
ভাতিজা বারবার এসে জিজ্ঞেস করেছে—
“চাচ্চু, আমি গেলে খারাপ লাগবে না? আমার ২০ টাকা কে নেবে? বিদেশ থেকে কল দেবো, বিকাশে ২০ টাকা পাঠাবেন।”
শিশুসুলভ এই ভালোবাসা একরামুল হকের চোখ ভিজিয়ে দিলো। যেন প্রতিটি শব্দ বুকের ভেতর গভীর শূন্যতা তৈরি করলো।
বিদায়ের আগে ছোট্ট হাতে নিজের ছবি বের করে দিয়ে ভাতিজা বললো—
“চাচ্চু, ছবিটা রাখেন। আমার কথা মনে হলে দেখবেন। আমার আব্বুকে কল দিয়ে আমার সাথে কথা বলবেন।”
এই কয়েকটি বাক্যেই ভেঙে পড়লেন চাচা। ফেসবুকে কান্নাভেজা মায়া নিয়ে লিখলেন—
“রক্তের সম্পর্ক, রক্তের বাঁধন। চেনা-অচেনা যাই হোক, এই বাঁধন ছিঁড়ে যায় না। একদিন ঠিকই টেনে আনে। কিন্তু আজ বুক ভরা কষ্ট নিয়ে বিদায় দিতে হচ্ছে আমার ভাতিজাকে।”
চাচা-ভাতিজার এই সম্পর্ক ছিল আলাদা। ছিল অকৃত্রিম। তাই তো বিদায়ের এই বেদনা গোটা পরিবারকে কাঁদিয়ে তুলেছে।
শেষে একরামুল হক সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রিয় ভাতিজার নিরাপদ যাত্রা ও সুস্থতার জন্য।
বাড়ি নং-৬৬, সোনারগাঁ জনপথ রোড, সেক্টর -১১, উত্তরা ঢাকা-১২৩০
মোবাইল নং: ০১৯৮৫২৩১১১২
Copyright © 2025 টপ নিউজ প্রতিদিন | বাংলা নিউজ পেপার. All rights reserved.