এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার একমাত্র তালিকাভুক্ত স্টেডিয়াম সংস্কারে উদ্যোগ নেই। ফলে স্থানীয় ও ক্রীড়ামোদী মানুষরা স্টেডিয়াম টির বেহাল দশায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিপাকে পড়েন নিয়মিত অনুশীলন করা খেলোয়াড়েরা।
দেখা যায়, ঈদগাহ স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের গোলবারটি ভেঙ্গে গেছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তাছাড়াও চতুর্পাশে পানি নিস্কাশনের জন্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্টেডিয়ামের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনুশীলন ব্যাহত হচ্ছে খেলোয়াড়দের। আবার স্টেডিয়ামের চারপাশেও নেই বাউন্ডারী।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত অফিসিয়াল ভবন আর টয়লেট অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন কয়েক বছর ধরে। হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পরিণত স্টেডিয়ামটি।
ঈদগাঁও উপজেলা ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারের এক উপদেষ্টার মতে, উপজেলার একমাত্র সরকারি তালিকাভুক্ত স্টেডিয়ামটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। মাঠে বিভিন্ন সরকারি আয়োজনকে কেন্দ্র করে দায়িত্বশীল হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে কারো দেখা মিলেনা। মাঠ সংস্কার বা ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। অথচ এই খেলার মাঠে ফুটবল,ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় শত শত খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে থাকে। ক্রীড়াঙ্গনকে সচল রাখতে মাঠ সংস্কারের দাবী।
সরকারী নিবন্ধিত সামাজিক প্লাটফর্ম ঈদগাঁও যুব ঐক্য পরিবারের ক্রীড়া সম্পাদক মো: ইদ্রিস
জানান,ঈদগাঁওয়ের কৃতি ফুটবলারেরা নিয়মিত অনুশীলন করে থাকে মাঠে। যারা ঢাকার নানান নামকরা ক্লাবের পক্ষ খেলছেন বিভিন্ন স্থানে। জলাবদ্ধতার কারনে তারা স্থানীয় খেলার মাঠে প্যাকটিস চালিয়ে যেতে পারছেনা। খেলোয়াড় দের ক্রীড়ামুখী করণের লক্ষে ঈদগাহ স্টেডিয়াম সংস্কারের আবেদন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের পক্ষের নিকট।
ঈদগাঁও ক্রিকেট একাডেমী পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান জানান, বর্ষা মৌসুমে সমগ্র মাঠ জুড়ে পানি চলাচল হওয়ায় অনুশীলন অনুপযোগী হয়ে পড়ে স্টেডিয়াম। যেটি সংস্কার জরুরী।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাড়ি নং-৬৬, সোনারগাঁ জনপথ রোড, সেক্টর -১১, উত্তরা ঢাকা-১২৩০
মোবাইল নং: ০১৯৮৫২৩১১১২
Copyright © 2025 টপ নিউজ প্রতিদিন | বাংলা নিউজ পেপার. All rights reserved.