আল আমিন সরদার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
পাটকেল ঘাটার বাজারেল মীর সেনেটারি টাইলস মালিক মীর শাহিন দুবাই থেকে অবৈধভাবে আনা সোনার বার দেশের দুটি বিমানবন্দর থেকে চলে যায় সীমান্ত এলাকায়। সেখান থেকে নিয়ে প্লাস্টিক পাইপ ব্যবসার আড়ালে পাশের দেশ ভারতে পাচার করেন স্বর্ণ তাছাড়া রয়েছেন তার ডলার ব্যবসা।
স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই বাংলাদেশকে তার চোরাচালানের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে তাছাড়া রয়েছেন তার বিরুদ্ধে ডলার ব্যবসা করার আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাত্রছায় তিনি করেছেন তার এই অবৈধ ব্যবসা।
সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার তুবা পাইপের ও মীর সেনেটারি টাইলস মালিক মীর শাহিন ওরফে ডলার শাহীন এই নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছেন।
তার নিজের এলাকাবাসীসহ পাটকেলঘাটে বাসি অনেকেই জানান , এক সময় নিজেই ভরণ পোশাক নিজেই চলতে পারতেন না মীর শাহিন অবৈধ স্বর্ণের বার ও ডলার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তিনি এসব ব্যবসা করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকছে চক্রের মূল হোতা মীর শাহিন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখলেই তার লোকজন সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করে চোরাকারবার।
এই স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের অন্যতম হোতা মীর শাহিন দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভালো মানুষের আড়ালে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এ চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। চোরাচালানের জন্য তিনি বেতনভুক্ত কর্মচারীও রেখেছেন। অবৈধ টাকায় সাতক্ষীরা আসাননগর গড়ে তুলেছেন তুবা পাইপ নামের একটি প্লাস্টিক কারখানা। মূলত এই পাইপ ব্যবসার আড়ালেই চলে তার স্বর্ণ পাচারের কারবার। এ স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্যরা নামে-বেনামে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। অনেকের দাবি দুদুক দিয়ে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে তার আসল রূপ।
এ ব্যাপারে তুবা পাইপের মালিক স্বর্ণ চোরাকারবারী মীর শাহিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টা স্বীকার করে সাংবাদিকদের হুমকি দেন।