ঈদগাঁওতে টিএন্ডটি পুকুর যেন ময়লা আবর্জনার ভাগাড় : স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ 

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও

দক্ষিণ চট্টলার বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারের গুরুত্ববহ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত টিএন্ডটি পুকুর যেন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে পড়ে। এতে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ও মুসল্লীরা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট। ফলে একদিকে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ, অপরদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের ময়লা আবর্জনা রাতের আঁধারে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বায়তুশ শরফ রাস্তার মাথাস্থ টিএন্ডটি অফিসের পুকুরে স্তুপ করে রাখে। এসব ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধের কারনে সড়ক দিয়ে দৈনিক শত শত পথচারী, সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ মুসল্লীরা বিপাকে পড়ে। দীর্ঘসময় ধরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের বিষয়ে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ টিএন্ডটি পুকুরকে প্রস্রাব ও মল ত্যাগের নির্দিষ্ট স্থান হিসেবেও বেছে নিয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে একশ্রেণীর লোকজন ঈদগাঁও বাজারের যত্রতত্র-ময়লা আবর্জনা টিএন্ডটি পুকুরে ফেলে। এতে করে বাজারে আগত লোকজনদেরকে দুর্গন্ধ পোহাতে হচ্ছে। অথচ এই বাণিজ্যিক এলাকা থেকে সরকারের কোষাগারে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হিসাবে জমা হলেও গুরুত্বপূর্ণ পুকুরের প্রতি কারো সুদৃষ্টি না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ জনগণকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ আর দূর্গতি।


সচেতন মহলের মতে,দীর্ঘকাল ধরে পুকুরটি ময়লা আবর্জনা আর অযত্নে অবহেলায় পড়ে হয়েছে। চলাচল সড়কের পাশে অবস্থিত পুকুর থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার প্রতি কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান।


ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছৈয়দ করিম জানান, কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম না থাকায় দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে বাজারস্থ সরকারী টিএন্ডটি পুকুরটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে অযোগ্য করে রেখেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি পুকুরটি সংস্কার করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করণ কিংবা উন্নয়নমুখী কিছু করার উদ্যোগ নিলে ভালো হত।

Leave a Reply