সামছুদ্দিন জুয়েল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এই কাজ বাধাগ্রস্থ করেন একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় তাই সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি, নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে দেশের সকল প্রশাসনের নির্দেশ দেওয়ার পরও কিভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী মাথাচাড়া দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে ,জুয়েল বাহিনীর ক্ষমতার উৎস কোথায় তাই এবার প্রশাসনের দেখার পালা।
মানুষ মানুষের জন্য এখন আর এমন কথা যেন কেউ মেনে নিতেই পারছে না। একজনকে মেরে আর একজনে খাবে, কাকে কুপিয়ে কে বড় হবে কার জমি কে দখল করবে, কেউ যেন কোনভাবেই শুনছেই না নিতীকথা, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ২৭ নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুরা এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় সন্ত্রাসী জুয়েলে এর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী সোহেল কে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায় জুয়েল সহ ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী। এবিষয়ে জিএমপি সদর মেট্রো থানায় অভিযোগ করেছেন সোহেলের স্ত্রী জহুরা বেগম (৩৫)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় জুয়েল, আলিম, কামরুল, কালা আনোয়ার, নাজিম এর নেতৃত্বে ৭৮/ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লক্ষীপুরার ডিঘির পারে মার্কেটের সামনে জনসম্মুখে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জুয়েল কে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সোহেল এর অবস্থা আশংকাজনক থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত সোহেলের স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন আমার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে এবং রক্ত বমি শুরু হলে তার প্রাণ রক্ষার্থে জরুরী ঢাকার উত্তরা এলাকায় অবস্থিত হাইকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
আমার স্বামী মোঃ সোহেল বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। সোহেলের স্ত্রী আরো বলেন গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত আনুমানিক পৌঁনে আট ঘটিকার সময় আমার স্বামী মোঃ সোহেল বাসা থেকে তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে। গাজীপুর সদর থানাধীন ২৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত লক্ষীপুরা এলাকার তালুকদার পুকুরপাড়ে থাকা জাকির মাদবরের মার্কেটের সামনে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা তাদের সহযোগী ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা অস্ত্র সয্য আসামীসহ ধারালো রামদা, চাপাতি, ডেগার, ছুরি, চাকু ইত্যাদি নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে এসে আমার স্বামীর গতিরোধ করে হত্যার লক্ষ্যে মারপিট শুরু করে।
একপর্যায়ে আসামী মোঃ জুয়েল তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাম পার্শ্বে কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মোঃ কামরুল তার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিলে আমার স্বামী প্রাণ রক্ষার্থে উক্ত কোপ হাত দিয়ে ঠেকায়। ইহাতে উক্ত কোপ আমার স্বামীর বাম হাতের বাহুতে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মোঃ আলিম তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমার স্বামীর বাম পায়ের হাটুর নিচে আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমার স্বামী ডাক-চিৎকার করলে আসামী কালা আনোয়ার দুই হাত দিয়ে আমার স্বামীর গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমার স্বামী বাঁচার জন্য জোরাজুরি করলে সকল আসামীরা আমার স্বামীকে মারপিট করে তার দুই হাতে, পায়ে, বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। আমার স্বামী ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উক্ত আসামীরা পরবর্তীতে আমার স্বামীকে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দিয়ে আশেপাশে মহড়া দিতে থাকে।
লোকজনের মাধ্যমে আমরা সংবাদ পেয়ে বাসা থেকে ঘটনাস্থলে এসে আমার স্বামীকে মুমূর্ষ অবস্থায় দেখি। এলাকার লোকজনের সহায়তায় আমার স্বামীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রেজিঃ নং ১৭৯৬/১৫, তাং ১৯/০৩/২০২৪ ইং মোতাবেক ভর্তি করি। তিনি আরো বলেন আমার স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে অবস্থানকালে অর্থাৎ ১৯/০৩/২০২৪ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৮.১৫ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামীরা তাদের সহযোগী ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামীসহ আমাদের বসত বাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করে বসত ঘর সংলগ্ন অটোরিক্সার গ্যারেজ থেকে মোট ১১ টি অটোরিক্সা, যাহার আনুমানিক মূল্য ৭,৭০,০০০/= (সাত লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা নিয়ে নেয় এবং আমাদের বাসার ০৪ টি বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙ্গে এবং বাসা সংলগ্ন দোকানের সাটার কুপিয়ে ও মালামাল ভেঙ্গে আনুমানিক ১,০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকার ক্ষতিসাধন করে ১টি অবৈধ পিস্তল উচুকরে সন্ত্রাসী কায়দায় বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আমার স্বামী সোহেল এর অবস্থা আশংকাজনক থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আমার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে এবং রক্ত বমি শুরু হলে তার প্রাণ রক্ষার্থে তাকে ঢাকা থেকে উত্তরা এলাকায় অবস্থিত হাইকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। আমার স্বামী মোঃ সোহেল বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। আহত সোহেলের স্ত্রী বলেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে সত্য উন্মোচন করার মধ্য দিয়ে গাজীপুর প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবি করছি, বর্তমান আমরা আতঙ্কে আছি, যে কোন সময় আমাদের উপরে আরো প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে হামলা হতে পারে।
গাজীপুর মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেদ আলী জবের কাছে এ বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন ঘটনাটি শুনেছি তবে ঘটনা স্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারব আরও একদিন পরে আসেন বলে এড়িয়ে যান। এই প্রতিবেদন লেখার শেষ মুহুর্তে জিএমপি সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক এসআই বায়েজিদের মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি প্রতিবেককে বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বাকি আসামীদের আটক করার উদ্দেশ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।