মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের ইউএনও এ কে এম ফয়সালক’কে স্যার না ডাকায় মাধবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার মাধবপুর প্রতিনিধি মুজাহিদ মসির উপর চটলেন ওই ইউএনও। এ ঘটনায় উপজেলার বেশিরভাগ সাংবাদিক ও সচেতনমহলে ইউএনওর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে।এ ঘটনার তদন্তের দাবীতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (৭ মার্চ) অফিসে খোলা দেখায় কালবেলার প্রতিনিধি মুজাহিদ মসি স্থানীয় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের তথ্য প্রাপ্তির আবেদনের জবাব আনতে গেলে ইউএনওকে “ভাই” বলে সম্বোধন করায় উত্তেজনা প্রদর্শন করেন অফিসে সবার সামনে।
এ সময় পাশে বসে থাকা এসিল্যান্ড রাহাত বিন কুতুকে ইউএনওকে সমর্থন করেন অপমান করারও চেষ্টা করেন। ওই ইউএনও ও এসিল্যান্ড তখন বলেন, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের উপজেলা লেভেলের সাংবাদিকরা কোনভাবেই ভাই বলে সম্বোধন করতে পারেন।আমরা তাদের আত্বীয়-স্বজন নই। মাধবপুর রিপোর্টাস ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ন সরকার নয়ন বলেন, সাংবাদিকরা তথ্য খুঁজে জনগণের সামনে পেশ করেন। অহংকারী জমিদার মাইন্ডের কতিপয় ইউএনওদের স্যার ডাক শুনার খায়েশ সম্পূর্ণ আইন -বিধিও গণতন্ত্র বিরোধী। অনতিবিলম্বে সাংবাদিক মজাহিদ মসিকে দ্রুত তার আবেদিত তথ্য প্রদান ও ক্ষমা না চাইলে আমরা সাংবাদিকরা মিলে মানববন্ধনের আয়োজন করবো।
এ বিষয়ে জানতে ইউএনও কে এম ফয়সাল এর সাথে মাধবপুর রিপোর্ট ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক এম এ কাদের যোগাযোগ করলে, তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান এবং বলেন এই ধরনে কোন কথা হয়নি। এক কথায় তিনি বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুজাহিদ মসি জানান, ইউএনও নিজেই আমকে চিঠি দিয়ে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে তথ্য নিয়ে যেতে বলেছেন। এখন সে তথ্য দিতে গরিমসি করছে উল্টো আমাকে স্যার না ডাকার অজুহাতে আমাকে অপমান করতে চাইছেন ।
ওই তথ্য ফাঁস হলে নিজেই দুর্নীতি দায়ে ফেসে যেতে পারেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ সিদ্দিকি, এনডিসি জানান,সাংবাদিকদের কাউকেই যত বড় কর্মকর্তা হউক না কেন কাউকে স্যার বলে ডাকার নিয়ম নেই। তথ্য নিতে আসা কালবেলার সাংবাদিকের সাথে ইউএনও বেশামাল আচরনের বিষয়টা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবেই আর তথ্যও দেয়া হবে।