উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারণা

জুয়েল শেখ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চলতি মাসের শেষের দিকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফশিল ঘোষনা করতে পারে গণ মাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচারের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছুটে চলেছেন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় সহ জানান দিচ্ছেন নিজের প্রার্থীতার বিষয়েও। এ বিষয়ে প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। পরিচিতি প্রচারনায় নানা চিত্র শোভা পাচ্ছে এখন ফেসবুক পেজে।

গণসংযোগের পাশাপাশি কয়েকজন প্রার্থী করছেন সীমিত আকারে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও পোস্টার আর লিফলেট বিতরণ। এ ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ঘরানার সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আনাগোনা বেশ লক্ষনীয়। দলীয় মনোনয়ন পেতে শুরু করেছেন বিভিন্ন তৎপরতা। এবার সাম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্না। তিনি আবারও দলীয় মনোনয়নের আশায় বেশ আগে থেকে গণসংযোগে মাঠে নেমেছেন। তিনি তার প্রয়াত পিতা ও কৃষকলীগ নেতা মির শহীদ মন্ডলের রাজনৈতিক সফল কর্মকান্ড তুলে ধরে ছাপানো হ্যান্ডবিল নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রচারণায় নেমেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল আলম বেনু। তিনিও দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষ করেছেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবু বকর সিদ্দিক মন্ডল তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এ পর্যায়ে এসে এ পদটির আশা করেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ এলাকায় প্রার্থীতা বিষয়ে জানান দিয়ে আসছেন। রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুব সমাজের প্রতিনিধি শিক্ষক সুমন চৌধুরী। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি প্রবেশ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩/১৪ সালে অগ্নি সন্ত্রাসের রোষানলে পড়ে তার বাড়ী ঘর ভাংচুর সহ অগ্নি সংযোগ করা হয় এবং তাকে প্রকাশ্য হত্যা চেষ্টা করলে স্থানীয় লোক জনের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পান। তিনি দীর্ঘ দুই বছর অগ্নি সন্ত্রাসকারীদের হুমকিতে ঘর ছাড়া ছিলেন। আওয়ামীলীগের রাজনীতির কারণে পরিবারসহ অনেক নির্যাতণের স্বীকার হয়েছেন। তাই নির্যাতিত ত্যাগী কর্মী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট মনোনয়ন চান। আরও রয়েছেন কুসুম্বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের আশায় তিনিও মাঠে নেমেছেন। এ লক্ষ্যে তারা সম্প্রতি শুরু করেছেন গণসংযোগ।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়া দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করবে কিনা এমন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এ কারণে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে মাঠ পর্যায়ে গণ সংযোগ করতে দেখা যায়নি। তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আটাপুর ইউপির পর পর চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আ স ম সামছুল আরেফিন চৌধুরী এবং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী( শাহীন চৌধুরী ) এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply