এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
শীতকালীন সবজি চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে গ্রামাঞ্চলের কৃষককূল। এবছর লাভের পরিবর্তে লোকশানের শংকা কাটছেনা প্রান্তিক চাষীদের।
বুধবার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলা ইসলামাবাদ পূর্ব গজালিয়া ঢালার মুখ নামক এলাকায় কৃষকের কষ্টের ফলানো শীতকালীন আগাম সবজির ভান্ডারে পরিণত হয়ে উঠেছে। সবখানে সবুজে ভরা ফসলী মাঠ। ২/৩ মাস পূর্ব হরেক রকমের তরিতরকারি বীজ রোপন করেছিলেন কৃষকরা। এখন শীতের আগাম মূহুর্তে ফসল তুলার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তারা। কেউ তাদের ফসলের মাঠে ফলানো কাঁচামরিচ,বেগুন, লাউ, তিতকরলা,ঝিঙা,বরবটি,পটলসহ নানা জাতের তরকারি বিক্রি করছেন। তবে শীম ও ফুলকপির চাষের চিত্র যেন চোখে পড়ার মতো। ঈদগাঁও - ঈদগড় সড়কের নদীর তীরবর্তী এলাকায় জমি গুলোতে সবুজ সতেজ ফসলের চাষাবাদে ভরে উঠে।
এছাড়াও ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, পোকখালী, জালালাবাদ,ঈদগাঁওর পাশ্বর্বতী ঈদগড় আর বাইশারী প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ফসলী জমিতে যে যার যার মত করে শীতকালীন শাকসবজি চাষে ব্যস্ত সময় দিচ্ছেন। সবুজ শাক সবজিতে ভরপুর হয়ে উঠে ঈদগাঁও উপজেলার পাড়া মহল্লায় ফসলের ক্ষেত। নিজ হাতে আপন মহিমায় কষ্টের বিনিময়ে ফসলী ক্ষেতে সকাল/বিকেলে দৈনিক পরিচর্যা করছে।
কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, অন্যন্যা বছর ন্যায় এ বছর শীতকালীন সবজিতে লোকশানে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টি গেলো, বর্তমানে প্রচন্ড গরমে সবজি গাছের ফুল ঝরে গিয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। সবজি গাছ পর্যাপ্ত পরিমাণ তুলতে পারছেন না সতেজ রুপে। যার কারনে এ বছর কাঙ্ক্ষিত ফসল বিক্রিতে লোকশানের শংকায় তারা। চেহারায় হাসির পরিবর্তে মলিনতা ভেসে উঠছে।
পূব গজালিয়ার ঢালারমুখের সিরাজুল ইসলাম জানান, শীতকালীন সবজির চাষাবাদ করছি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে দেড়খানি মতো জমিতে। সবজির উপকরণের দাম আর গাছ মরে যাওয়ায় লাভের পরিবর্তে লোকশান শংকা করা যাচ্ছে এ বছর।
পূব গজালিয়ার নুরুল হক জানান, দীর্ঘদিন এ চাষাবাদ করে আসছি। গেল বৃষ্টি আর অতি তাপমাত্রায় ও উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারনে ফসলী জমি তোলতে পারিনি এখনো। বিগত বছরের লাভের মুখ দেখলেও এই বছর লাভ আশা করা যাচ্ছেনা।