নবিজুল ইসলাম নবীন,
নীলফামারী প্রতিনিধি,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকায় আটকে পড়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। দুই দেশের মধ্যে এই ট্রেনের পরিষেবা আবার কবে চালু হবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অবশেষে প্রায় পাঁচ মাস পর ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুঁড়িতে ফিরেছে মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এটি আন্তঃদেশীয় এক্সপ্রেস, যা পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের নিয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুঁড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলাচল করতো।
পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি দিয়ে ভারতের হলদিবাড়ী প্রবেশ করে ট্রেনটি। ১৩১৩২/৩১ নম্বর মিতালি ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে গত ১৭ জুলাই ভারতের নিউ জলপাইগুঁড়ি থেকে ঢাকায় রওনা দিয়েছিল।
বরাবরের মতো ট্রেনটি ভারতের হলদিবাড়ী বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের কারণে ঢাকায় আটকে যায় ট্রেনটি।
সূত্র আরও জানায়, ২০২২ সালের ১ জুন উদ্বোধনের পর নিউ জলপাইগুঁড়ি থেকে সপ্তাহে রবি ও বুধবার ভারতীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে রাত ১০টায় পৌঁছে ট্রেনটি। এদিকে, ঢাকা থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে নিউ জলপাইগুঁড়ি স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ৭টায়। সকালে বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে মিতালী এক্সপ্রেস ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিনে। আবার ভারতে মিতালির বগিগুলো হলদিবাড়ী স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে ইঞ্জিনটি চিলাহাটিতে ফিরে আসে।
চিলাহাটি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার হায়দার আলী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে মিতালি এক্সপ্রেস ঢাকায় আটকে ছিল। আজ সকালে খালি বগিগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ে হলদিবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এ সময় ৪টি এসি বার্থ, ৪টি এসি চেয়ারকার ও ব্রেক ভ্যানসহ দুটি পাওয়ার কার ভারতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ’
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের পর ২০২২ সালের ১ জুন হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রুটে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মিতালি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৫৭ বছর পর ফের চালু হওয়া মিতালি এক্সপ্রেসটি সাময়িকভাবে বন্ধ হলো। ১৯৬৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি বিলুপ্ত রেলওয়ের ট্রানজিট পয়েন্ট ছিল।