নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির টঙ্গী পূর্ব থানার সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন
রোববার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে তার নিজ বাসভবনের বিএনপি অফিস কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, আমি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র টঙ্গী পূর্ব থানা সভাপতি। শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার হত্যা, গুম, নির্যাতন, লুন্ঠনের বিরুদ্ধে রাজপথের নিরন্তর লড়াকু সৈনিক। ফ্যাসিস্ট হাসিনার জেল, জুলুম ও হুলিয়াকে মাথায় নিয়ে জনগণের অধিকার আদায়ে জনগণের পাশে থেকে জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিবাদ প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের ভোটাধিকার আদায় করতে গিয়ে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের একতরফা ডামি নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় ৬৩ দিন জালিম সরকারের জেলখানায় কারাবন্দী ছিলাম। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জনগণের পাশে থেকে জনগণের বিজয়কে অপরিহার্য ও অনিবার্য করে তোলার লক্ষ্যে জীবনবাজি রেখে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমাকে জড়িয়ে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় 'টঙ্গীতে নারী উদ্যোক্তার বাড়িতে বিএনপি নেতার হামলা ভাঙচুর' শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য, বিভ্রান্তিকর এবং আমার রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুনামকে নষ্ট করার অপপ্রয়াস। এটি আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কালিমা লেপনের জন্য একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছে। উক্ত পত্রিকায় প্রতিবাদলিপি পাঠানোর পরও কোন প্রতিবাদ ছাপেনি। পরবর্তীতে আমি টঙ্গী থানায় সাধারণ ডায়েরী করি।
তিনি জানান, যে ভদ্রমহিলা (মিসেস রাশেদা ফারুক) নিজেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাবি করেছে, প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন জুট ব্যবসায়ী। তার স্বামী জনাব মোঃ ওমর ফারুক মটর শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মটর শ্রমিক লীগ টঙ্গী থানার আহ্বায়ক ও টঙ্গী ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সদস্য। স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে এবং স্বৈরাচারী হাসিনার পদলেহন করে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত টঙ্গীতে জুট ব্যবসা করে যাচ্ছে। টঙ্গী তথা সারাদেশে কোথাও তার কোন গার্মেন্টস কারখানা নেই। নারীদের কর্মসংস্থান বা ভাগ্যোউন্নয়নে তার বিন্দুমাত্র কোন অবদান বা উদ্যোগ নেই। তিনি অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। মিসেস রাশেদা ফারুকের অবৈধ অর্থের উৎস অনুসন্ধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা পালানোর পরে সারাদেশে আওয়ামী দুঃশাসনের সুবিধাভোগী, ভূমিদস্যু, হত্যাকারী ও লুণ্ঠনকারীরা জনরোষের শিকার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া কথিত নারী উদ্যোক্তা তথা জুট ব্যবসায়ীর ওপর হয়ত কেউ হামলা হতে পারে। যার সাথে আমার বা বিএনপি'র কোন নেতা-কর্মীর কোন সম্পর্ক নেই। মূলত স্থানীয় একটি ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলের যোগসাজসে বিএনপি'র ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যার সাথে আমার দূরতম কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনগণের জানমাল রক্ষায় সজাগ ও সতর্ক ছিলাম।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের দর্পন। জাতির বিবেক। সত্যানুন্ধানই আপনাদের জীবনের ব্রত। সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে জনকল্যাণে সঠিক পথে পরিচালনায় আপনাদের কলম সদা জাগ্রত। আপনাদের নিকট বিনীত অনুরোধ, এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুন। কথিত নারী উদ্যোক্তা তথা জুট ব্যবসায়ীর মুখোস উম্মোচন করুন। আওয়ামী দুঃশাসনের বরকন্দাজ স্বামীর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিভাবে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে তা অনুসন্ধান করুন। এতে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।