দুমকী ও পবিপ্রবি( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের অর্থায়নে ৪০ জন স্থানীয় কৃষকের শীতকালীন নিরাপদ সবজি উৎপাদনের প্রশিক্ষণ এবং এর ফলাফল পর্যালোচনা নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর পবিপ্রবির রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত গবেষণা কার্যক্রমের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের ফলাফল নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পবিপ্রবি"র ইনোভেশন ডেসিমিনেশন সেন্টারে আয়োজিত
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান। অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পবিপ্রবি'র রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশিদ।
এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুখ্য গবেষক ও রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশিদ এবং সহকারী গবেষক লেকচারার মোঃ নাজমুল হাসান মেহেদির যৌথ গবেষণার মাধ্যমে শীতকালীন নিরাপদ সবজি উৎপাদনে তাদের পরামর্শ এবং তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের চাষাবাদে কী কী পরিবর্তন এসেছে তা পর্যালোচনা করা।
প্রশিক্ষণের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই বিপদজনক। তাই আপনারা (কৃষকরা) প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কীটনাশক বা সার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পবিপ্রবির উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আপনাদের (কৃষকদের) যেকোনো সাহায্যের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা প্রস্তুত। আপনারা (কৃষক) যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন, আমরা সর্বোতভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মুখ্য গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, “আমাদের এই কার্যক্রম এখানেই শেষ নয়। আমরা আগামীতে গ্রীষ্মকালীন চাষাবাদেও সাধারণ কৃষকদের জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।” তিনি আরও বলেন, পবিপ্রবি শুধু নিজেদের শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।