মো. জাকারিয়া :-
বিএনপির নামধারী স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এসব দখলে জড়িত। দখল, লুটপাট থেকে বিরত থাকতে বিএনপি নির্দেশনা দিলেও খুব একটা কাজে আসছে না।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাধবদী আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের দখলে থাকা খাল–নদী হাতবদল হয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের দখলে চলে গেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীনসহ নানা সরকারি সম্পদ লুট, দখল চাঁদাবাজি চলছে। স্থানীয় বিএনপির নামধারী কিছু ব্যক্তিসহ এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি এসব দখলে জড়িত। দখল, নৈরাজ্য, লুটপাট থেকে বিরত থাকতে বিএনপি কঠোর নির্দেশনা দিলেও খুব একটা কাজে আসছে না।
২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সমন্বিতভাবে নদীটি দখলে নেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেটি স্থানীয় বিএনপির লোকজন দখলে নিয়েছেন। প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার খ্যাত মাধবদী শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রক্ষপুত্র নদী। এ নদী গিয়ে মিশেছে মেঘনা নদীতে। নদীর দু-পাশে গড়ে ওঠেছে হাজারো শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার ফলে প্রসারিত হয়েছে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য। নদীর দুই পাশে দোকানপাট নির্মাণ এবং কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছিল ব্রক্ষপুত্র নদীর জৌলুস।
মাধবদী বাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বিগত সরকারের সময়ে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নদের দু-পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদের পূনঃখনন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দু-পাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ করা হয়। এতে করে মাধবদী বাসীর মাঝে কিছুটা হলেও প্রশান্তি বিরাজ করছিল। অতিব দুঃখের বিষয় হলো কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো নদের দু-পাশে মুনাফা লোভীরা কৌশলে নদের উপর গড়ে তোলে অবৈধ স্থাপনা। যা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এসব টাকা যাচ্ছে মুনাফা লোভীদের পকেটে। সম্প্রতি এমনই এক দৃশ্য চোখে পড়ে সোনার বাংলা সমবায় সমিতি মার্কেটের সামনে।
যেখানে নদের উপর সিমেন্টের পিলার, বাশ ও কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান। খোঁজ নিয়ে জানতে পারা যায়, এসব দোকান নির্মাণ করছেন সোনার বাংলা সমবায় সমিতি সাবেক পরিচালক সিরাজুল ইসলাম (শফি)। এসব দোকান নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোনার বাংলা সমবায় সমিতি ও ভূমি অফিসকে জানিয়ে তিনি কাজ করছেন। দোকান নির্মাণের বিষয়ে সোনার বাংলা সমবায় সমিতির ম্যানেজার মোঃ আসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, দোকান নির্মাণ এর বিষয়ে সোনার বাংলা সমবায় সমিতি ও তিনি কিছুই জানেন না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে নরসিংদী সদর এসিল্যান্ড মোঃ সাইফুল ইসলাম গত ২৭ নভেম্বর ঘটনা স্থলে পৌছে দোকান নির্মাতাকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং স্থাপনা নষ্ট করেন।
দোকান নির্মাণের কাজ কেন বন্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা নদীর জায়গা। এখানে নদীর উপর কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। গোপনে যেসব ব্যক্তি অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।