মো.আমিন উল্লাহ,কক্সবাজার:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের উখিয়ার ঘাট বনবিটের আওতাধীন বনভুমির জায়গা দখল করে নতুন ইটের ঘর নির্মাণ করছে
একটি দখলদার চক্র।প্লট বানিয়ে পৃথক-পৃথক ভাবে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ-লাখ টাকা।
ভুয়া স্ট্যাম্প বানিয়ে এসব বনভুমির জায়গা বিক্রি ও নতুন ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে স্বামী পরিত্যক্তা দখলদার চক্রের নারী সম্রাজ্ঞী রোশন আরা মিনু।মিনুর দখলের হাত থেকে জন চলাচলের পথও রেহাই পায়নি।সে প্রকাশ্যে বলে বেড়াই ডিএফও, রেঞ্জ অফিসার,বিট অফিসার, ফরেস্টার,এলাকার মাস্তান নাকি তার হাতের মুটোই।তার হাত অনেক লম্বা।
জানা গেছে,উখিয়ার ঘাট গ্রামের জনৈক রোশান আরা বেগম প্রকাশ মিনু একজন স্বামী পরিত্যক্তা নারী।নিজেকে অসহায়ত্ব দেখিয়ে পিতা মো.শফির ভিটি জায়গায় আশ্রয় নিয়ে একটি কুঁড়ে নির্মাণ করে গত ১০/১২ বছর পুর্ব থেকে বসবাস করে আসছিলেন।পিতার অসুস্থ্যতা এবং নিজেকে অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পিতার অগোচরে ভুয়া স্ট্যাম্প বানিয়ে পিতার ভোগ দখলীয় প্রচুর জায়গা দখলে নেয়।পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের অজুহাত তুলে ঘেরাবেড়া দিয়ে উক্ত জায়গায় পর-পর ৩/৪টি ঘর নির্মাণ করে গোপনে বিক্রি অব্যাহত রাখেন।পিতার অগোচরে এসব বনভুমির জায়গা বিক্রির খোঁজ-খবর পাওয়ায় পিতা বারণ করলে গুরুতর অসুস্থ্য বৃদ্ধ পিতাকে ভাড়াটিয়া লোকজনের সহযোগিতায় একাধিকবার মারধর করেন মিনু।আর যারা জায়গা ক্রয় করছেন,তারা কালো ব্যবসায়ী।
কালো টাকার জোরে অসুস্থ্য মো.শফির ভোগ দখলীয় জায়গা ক্রয়ের নামে দখল পুর্বক নতুন ইটের ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।এতে কোন প্রকার তোয়াক্কা করছেন না।
গত কয়েকদিন ধরে জবর দখল করা উক্ত জায়গায় দুটি ঘর থাকা স্বত্বেও নতুন করে ইটের তৈরী ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছেন।জানা গেছে,একই এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে ছৈয়দুর রহমান,তার কন্যা সাজেদা বেগম ও জামাতা নুরুল ইসলাম উক্ত জায়গা পরিমাপ করে নতুন ইটের ঘর তৈরী অব্যাহত রেখেছেন।উক্ত ঘর তৈরীতে ভাড়াটিয়া লোকজন এনে পিতা'কে হাকাবকা করে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছেন।
গুরুতর অসুস্থ বৃদ্ধ মো.শফি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,মিনু আমার কন্যা হলেও,সে আমাদের কারো কথা শোনে না।আমাদের চলাচলের পথটিও দখলে নিয়েছে।আমার গরু আত্মসাৎ করেছে।আমার হাওলাতি নেওয়া সহ প্রায় ৩ লাখের বেশী টাকা আত্মসাৎ করেছে।পথ দখল, জায়গা দখল,জায়গা বিক্রি এবং নতুন ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় বহুবার মেরেছে।
এদেশে কি বিচার নাই?আমি বনভুমির জায়গা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় জায়গা ক্রেতা চক্রের সহযোগিতায় মারধর করার জন্য তেড়ে আসে।এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা দুই সংবাদকর্মীর উপস্থিতিতে অশালীন গালিগালাজ করেন দখল সম্রাজ্ঞী মিনু। এ প্রসঙ্গে মিনুর বক্তব্য সে ২০ শতক জায়গা বাবা'র নিকট থেকে কিনেছেন।বাবার অভিযোগ মিনু ভুয়া স্ট্যাম্প সৃজন করে প্রচুর জায়গা দখলের পাশাপাশি চলাচলের রাস্তাও দখলে নিয়েছে।
বনভুমির জায়গায় নতুন ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়ার ঘাট বনবিট কর্মকর্তা কামরুল পাটোয়ারী বলেন,আমি চট্রগ্রামে। ওখানে কোন স্টাফ নাই বলে লাইন কেটে দেন।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,খবর পেয়েছি।বিট অফিসার'কে পাঠাচ্ছি।ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।