স্টাফ রিপোর্রতা
রাজধানী চৌধুরী শপিংমলে দীর্ঘদিন যাবত মালিক সমিতি নাম দিয়ে হাতি নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা কিছুই পাচ্ছে না দোকান মালিকরা। আজ সকালে দোকান মালিকরা সমিতির অফিসে এসে হিসাব চাইলে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন চৌধুরী শপিং মলের মালিক সমিতির নাম দিয়ে ওরা তিনজন হাতি নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নিচে দুর্নীতির চিত্র দেওয়া হল।
১। এক কালীন প্রতি দোকানে ৫০ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে ট্রান্সমিটারের জন্য। এবং প্রতি দোকান থেকে ১০ হাজার। ৫ হাজার করে টাকা নিয়েছে। শুধু তাই নয় কেস বাবদ টাকাও নেওয়া হয়েছে।
২। এস্কেলেটরটি কার সাথে পরামর্শ করে বিক্রি করা হয়েছে? এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সকল দোকানদারদের জানানো হল না।
৩। কার অনুমতি নিয়ে জেনারেটর বিক্রি করা হয়েছে? এবং আন্ডারগাউনের মালামাল কার অনুমতি নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।
81 ৫ম এবং ৬ষ্ট তলা অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় দোকানের সামনের ফুটপাত আন্ডারগাউন ও ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ওই টাকাগুলো কোথায়?
৫। ২০১৮ সাল থেকে এ.জি.এম করা হয় নাই কেন? আপনারা কেন এই বিষয়ে সকল দোকানদারদের জানান নি?
৬। দোকান কেনা-বেচা হয়েছে সার্ভিস চার্জ, কারেন্ট বিল প্রতি দোকানে বকেয়া ২ লাখ থেকে ৩ লাখ নেওয়া হয়েছে এই টাকাগুলো কেন জমা হয় নি? হাতবদল করা হয়েছে ওই টাকাগুলোই বা কোথায়?
۹۱ ট্রান্সমিটার ১২ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কিন্তু বাউচার বাড়িয়ে ২৩ লাখ টাকা বানানো হয়েছে।
৮। কার সিদ্ধান্তে ৩ হাজার টাকা করে স্কয়ার ফিট সাগরকে দিতে হবে? কেন এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?
৯। সাগর এবং x, y, z মনির সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৬ টা দোকান বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি দোকান ১০ লাখ টাকা করে। এই টাকাগুলো কেন ব্যাংকে দেওয়া হল না? যার মূল্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এবং আরো আন্ডারগার্ডন ভাড়া দেওয়া হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। এই সকল টাকাগুলো ব্যাংকে জমা দেওয়া হলে নিলামের প্রসংগ আর উঠে আসত না। এমনকি অফিসবয় নাসির ও ০৬ টি দোকানের মালিক।
১০। মালিক সমিতির কাছে আমাদের সকল দোকানদারদের আবদার এটাই যে, মালিক সমিতি যেন আমাদের সম্পূর্ণ হিসাব বুঝিয়ে দেয়।
১১। বাহিরে বিজ্ঞাপন ভাড়া দেওয়া হয়েছে অনেক টাকা। সেই টাকা গুলো কোথায়?
১২। সাগরদের প্রচুর সম্পদ আছে, এই সম্পদ বিক্রি করে অনেক টাকার ডিপোজিট থাকবে। সেক্রেটারি সাগরের সাথে গোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। সকল সিদ্ধান্তের জবাব চাই। সমিতির কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মার্কেট না জমার জন্য পায়তারা করছে। মার্কেট এর বাতি নিভিয়ে রাখতো, যাতে মার্কেট না চলে।
১৩। এই কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু জোর পূর্বক রয়ে গেছেন। এখন সাধারন দোকানদার দের একটাই দাবি, পুরাতন কমিটির সকল হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিতে হবে এবং নতুন ভাবে আবার কমিটি গঠন করতে হবে।