নেত্রকোনায় বাস স্ট্যান্ড ও বিএডিসি গুদামে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুয়েলের চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক :-

সারাদেশে চলমান রয়েছে,চাঁদাবাজ,দখলবাজদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান তবুও থেমে নেই নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ড ও বিএডিসি গুদামের সার পরিবহনের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজ জুয়েলের চাঁদাবাজি।

নেত্রকোনা জেলা মোটর মালিক সমিতির নেতারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় ৫-ই আগষ্ট পর তারা পলাতক থাকায় এ সুযোগে নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচলকারী প্রতিটি বাস থেকে মালিক সমিতির নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে চাঁদাবাজ জুয়েল। নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শত শত বাস চলাচল করে। কোন বাস থেকে চাঁদা দিতে না চাইলে সেই বাসের স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এই চাঁদার টাকা দিয়ে জুয়েল নেত্রকোনা শহরের গাইনপাড়া ভিত্তিক একটি ক্যাডার বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। এই বাহিনীতে রয়েছে আজিজুল, সাদ্দাম, রনি এবং রিপনসহ একটি ক্যাডার গ্রুপ।

মালিক সমিতির কেউ না থাকার কারণে জুয়েল বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে তার ইচ্ছা মতন রুট পারমিট বিহীন বাস ট্রিপে পাঠিয়ে দিচ্ছে ,এ যেনো দেখার কেউ নেই।

নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ড ঘুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় জুয়েলের গাইনপাড়ার ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকার সবাই অতিষ্ঠ কিন্তু মান-সন্মানের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলে না।

এছাড়াও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটপাতের দোকান থেকেও প্রতিদিন টাকা আদায় করছে জুয়েল বাহিনী।

বাসের স্টাফ ও বিএডিসির লেবারদের অনেকে আরো জানায়, প্রশাসনের সোর্সকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে এই চাঁদাবাজি করছে স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড সহ বিএডিসির গুদামের সার পরিবহনের প্রতিটি ট্রাক থেকেও প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছে জুয়েল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রাইভার বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে চাঁদাবাজি করলে আমরা গাড়ি চালাবো কিভাবে। আওয়ামিলীগ যেমন জুলুম করেছৈ, এখনও একই অবস্থা হলে কি করা যাবে। আমরা কার কাছে যাবে। এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো: জুয়েলকে ফোন করে প্রশ্ন করার পর তিনি ফোন কেটে দেন।

Leave a Reply