
নুরুল বশর
লোহাগাড়ায় ৩২ হাজার পিস ইয়াবা সহ লোহাগাড়া থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে দুই যুবক। গতকাল ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) লোহাগাড়া থানার সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে খলিল নামে একজন টেকনাফ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি।
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এই চালান নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তারা। এসময় নুরুল ইসলামের পুত্র হারুন ও ফারুক নামের আরও দুই ব্যক্তি পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
আটককৃত খলিলের ব্যপারে এলাকার লোকজন জানান, ‘ ‘আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়েও খলিল আওয়ামী নেতাদের যোগসাজশে ইয়াবার ব্যবসা চালাতেন। এই বিষয়ে এলাকার কেও বাঁধা দিতে আসলে তাকে আওয়ামী নেতার প্রভাব দেখাতেন। এই ইয়াবা ব্যবসা করে খলিল অল্প সময়ে হয়ে উঠে কোটি টাকার মালিক। তার ইয়াবা ব্যবসায় বাধাঁ দিতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন অনেকেই।
গত ৫ই আগস্টে সরকার পতনের পর এলাকায় বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে তার ত্রাসের রাজত্য বহাল রেখেছেন। এখন আবার বিএনপির বড় নেতাদের হাত ধরে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। কিন্তু চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন কথাটার প্রতিফলন ঘটে গেলো। অবশেষে পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলো খলিল।’
এই বিষয়ে টেকনাফের এক বিএনপি নেতা জানান, এসব আবর্জনা গুলো দল থেকে বহিষ্কার করে দলকে আবজনামুক্ত করা হবে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
এস আই শরীফুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ, সিলভার কালারের এক্স নোহা গাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে ৩২হাজার পিচ ইয়াবাসহ দুজনকে আটক করি আমরা।অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িতে থাকা একই ইউনিয়নের কানজরপাড়া এলাকার মো. ফারুক (২৫) ও মো হারুন (২৫) নামে দুইব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। একইদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।